Friday, May 31, 2013



সাধারণত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অর্থনীতি বিভাগ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)। পরীক্ষার সময় এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। কোনো কোনো ব্যাংকের প্রশ্ন চার-পাঁচটি বিষয়েই থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংকে তিনটি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সব বিষয়ই জানা থাকতে হবে। প্রস্তুতি ভালো থাকলে প্রশ্ন যেমন-ই হোক, ভালো করা যায়।

পরীক্ষা পদ্ধতি


ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষাগুলোতে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও প্রশ্নের ধরন সাধারণত একই ধরনের হয়ে থাকে। নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ নম্বরের প্রশ্ন হয়। প্রায় সব ব্যাংকেই এমসিকিউ পরীক্ষার পর লিখিত পরীক্ষা হয়।
এমসিকিউ অংশের প্রশ্ন হয় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও কম্পিউটার, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, পাজলস এবং ডাটা সাফিশিয়েন্সি অংশ থেকে। আর লিখিত বা বর্ণনামূলক পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকে গণিত, ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি অংশ থেকে। তবে বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংকের প্রশ্ন একটু ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। এ বিষয়গুলো ছাড়াও ইসলামী সংস্কৃতি ও অর্থব্যবস্থার ওপর বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে। সরকারি এবং ইসলামী ব্যাংক ছাড়া অন্য ব্যাংকগুলোর প্রশ্ন করা হয় সাধারণত ইংরেজিতে। পরীক্ষার সময় এবং নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়।

বাংলা


বাংলাবিষয়ক প্রশ্নগুলো করা হয় সাধারণত ব্যাকরণ এবং সাহিত্য থেকে। ব্যাকরণের ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি-বিচ্ছেদ, লিঙ্গান্তর, বচন, বানান শুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয়, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, অনুবাদ, অর্থনীতিবিষয়ক প্রবন্ধ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। এ ছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি এবং বিকাশ, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী ও কর্ম, সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, চরিত্র ও উক্তি, বিখ্যাত পত্রপত্রিকার সম্পাদক প্রভৃতি বিষয়েও
প্রশ্ন করা হয়।

ইংরেজি

চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজিতে বেশি ভুল করেন বলে এ বিষয়ে বিশেষ প্রস্তুতি থাকতে হবে। বিশেষ করে letter, word, sentence, parts of speech, voice, narration, phrase and idioms, correction, tense, number, gender, person, completing sentence, correct spelling, synoûm, antoûm প্রভৃতি ভালোভাবে শিখতে হবে। এ ছাড়া বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ও রচয়িতা, কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী ও সৃষ্টিকর্ম, বিভিন্ন কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের চরিত্র ও বিশেষ উক্তিগুলো সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে।

গণিত


নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে অনেকেরই গণিতভীতি কাজ করে। এই ভয় কাটানোর সবচেয়ে ভালো উপায় নিয়মিত অনুশীলন। ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় গণিত অংশে ভালো করতে গড়, গতি, অনুপাত, শতকরা, পরিমাপ ও একক, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি এবং পরিমিতির জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান ভালোভাবে শিখতে হবে। পাশাপাশি লসাগু-গসাগু, ঐকিক নিয়ম, বর্গ, সরল, মান নির্ণয়, সাধারণ চার নিয়ম, সামান্তধারা নির্ণয়, সমাধান এবং জ্যামিতিক সূত্র ও সংজ্ঞাগুলো শিখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান


সাধারণ জ্ঞান অংশে প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে। বাংলাদেশবিষয়ক প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ভৌগোলিক বিষয়াবলি, আয়তন, সীমানা, নদ-নদী, কৃষিজ, বনজ, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদ, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প ও বাণিজ্য, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান, পুরস্কার ও সম্মাননা, অর্থনৈতিকব্যবস্থা, নৃতাত্তি্বক পরিচয় এবং সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি জানতে হবে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, বিশ্ব রাজনীতি, মহাদেশ, দেশ ও জাতি, সীমারেখা ও স্থান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন, চুক্তি ও সনদ, পুরস্কার ও সম্মাননা, বিশ্ব অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্য, খেলাধুলা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত স্থান ও স্থাপনা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে।

দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও কম্পিউটার
 

ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয় দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিষয়ে। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার ও আবিষ্কারক, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, তাপ, আলো, বিদ্যুৎ, শব্দ, চুম্বক, মানবদেহ, উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যা, খাদ্য ও পুষ্টি, চিকিৎসাবিজ্ঞান, মহাকাশবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান, ভূগোল, প্রাকৃতিক ভূগোল, খনিজ ও মৃত্তিকা, বায়ুমণ্ডল, যন্ত্রবিদ্যা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিঙ্ এবং কম্পিউটার সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানা থাকতে হবে।

অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, পাজলস, ডাটা সাফিশিয়েন্সি


ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিষয়গুলোর উত্তর করতে হবে। বিষয়টি বেশ কঠিন। তবে অফিসিয়াল জিম্যাট, ব্যারনস জিম্যাট কিংবা আইকিউ টেস্টের যেকোনো বই দেখে নিয়মিত চর্চা করলে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া সহজ হয় যেকোনো পরীক্ষার্থীর জন্য।

ইসলামিক জ্ঞান


ইসলামি শরীয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৫-৩০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয় ইসলামি জ্ঞানবিষয়ক। সে ক্ষেত্রে ইসলামি শরীয়াহ্ভিত্তিক ব্যাংকে যাঁরা চাকরি করতে চান তাঁদের অন্যান্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ইসলামিক জ্ঞানও রাখতে হবে। বিশেষ করে আকাইদ, শরীয়ত, আখলাক, পবিত্রতা, নবী-রাসুল এবং সাহাবীদের জীবনী, ইসলামী সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয়ব্যবস্থা, ইসলামী অর্থব্যবস্থা, ইসলামী গ্রন্থ ও গ্রন্থকার, কোরআন ও হাদিস, মুসলিম কবি, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের জীবনী ও কর্ম, জিহাদ, আন্দোলন ও সংগঠন প্রভৃতি সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।

সহায়ক বই


ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষায় ভালো করতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বইগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। দৈনিক জাতীয় পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি টাইমস, রিডার্স ডাইজেস্ট, ইকোনমিকসের মতো আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক নিউজভিত্তিক মাসিক পত্রিকা যেমন_কারেন্ট ওয়ার্ল্ড, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, কারেন্ট নিউজ প্রভৃতি পড়তে হবে। এ ছাড়া বিগত বছরের ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র-সংবলিত বেশ কিছু বই কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো নিয়মিত চর্চা করলে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া বেশ সহজ হবে

Thursday, May 30, 2013

আজ ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদাতবার্ষিকী। দলটি এমন এক সময়ে এই কর্মসূচি পালন করছে, যখন দেশে সভা-সমাবেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা।বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ নেতা জেলে। যা দু-একজন বাইরে আছেন, তারা দুই কার্যালয়ের বাইরে মুভ করতে পারছেন না। সীমিতসংখ্যক কিছু কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সভা-সমাবেশ করতে না পারায় হরতাল দিলেও তারা নিজেরাই মাঠে নামতে পারছেন না।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই অবস্থা থেকে বিএনপি আর বড় ধরনের কোনো আন্দোলনে আপাতত যাচ্ছে না। অনেকটা কৌশলী হয়ে যতটুকু কর্মসূচি পালন না করলেই না, তা করবে।বিএনপি ও তাদের জোট সূত্র
জানায়, আগামী রমজান পর্যন্ত বিরোধী জোট এভাবেই চলবে। তবে রোজা শুরুর আগে আরো বেশ ক’দিন হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হবে। সরকারি বিধি-নিষেধের এক মাস পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এই সময়সীমা শেষে কর্মসূচি পালনের সুযোগ আসলে আরেকটু আন্দোলন জোরদার করা হবে।তারেক রহমানও সে সময়ে ফেরার আভাস দিয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা আরটিএনএন- কে বলেন, ‘সভাপতি ও সম্পাদক সবাইকে গ্রেপ্তার এড়িয়ে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে মাঠে থাকতে বলেছেন।’

তিনি জানান, ‘এভাবে রমজান পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন হাই-কমান্ড। এর মধ্যে তারেক ভাই দেশে আসবেন। তখন পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

আর সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে ওই সময়কে বেছে নেওয়ার জন্য বিএনপির হাই-কমান্ড থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।তৃণমূলে যে ক্ষোভ বিদ্যমান, তা রমজানের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার প্রভাব দেখা গেছে। একজোট হয়ে সবাই দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠে রয়েছেন।এর বাইরে যুব, স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে তাদের সব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া।

এসব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে বেশিরভাগ শাখায় মূল দ্বন্দ্ব সভাপতি ও সম্পাদকের মধ্যে। তাদের ঘিরে আলাদা দুটি বলয় কাজ করে। দলীয় চেয়ারপারসন বলয় ভেঙে এক করতে সভাপতি ও সম্পাদকের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।খালেদা জিয়া নিজে ঢাকা মহানগরসহ বিভাগীয় মহানগরের ঝামেলা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু আরটিএনএন- কে বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন দলের নীতিনির্ধারকরা। অপেক্ষা করুন আরো কঠোর কর্মসূচি আসবে। তবে এখন সব নেতাকর্মীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান আরটিএনএন- কে বলেন, ‘সামনে রমজান। জনগণের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি বিএনপি দিবে না। তবে সরকার বাধ্য করলে ভিন্ন কথা।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের পরে বিরোধী জোট কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরবে না।’
 From:
আরেফিন শাকিল
আরটিএনএন

Tuesday, May 28, 2013

উপকরণ: ৫০০ গ্রাম রেডিমেড পাফ পেস্ট্রি, পাঁচ টেবিল চামচ আইসিং চিনি, ৩০০ মিলিলিটার ডাবল ক্রিম, আধা চা-চামচ ভ্যানিলা 

ফ্লেভার, এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর চিনি, ৪০০ গ্রাম স্ট্রবেরি।



প্রণালি: ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ওভেন প্রিহিট করুন। মিলফ্যু তৈরির জন্য পেস্ট্রি বেলে সিকি ইঞ্চি পুরু করে রাখুন। একে নয়টি

আয়তকার শিটের আকারে কাটুন। শিটগুলো ননস্টিক বেকিং শিটে রাখুন। ওভেনে ১৫ মিনিট বেক করুন। সোনালি বাদামি হয়ে এলে বের 

করে ঠান্ডা করুন। ডবল ক্রিম চুলায় দিয়ে অনবরত থাকুন। চামচের মাথায় নরম ফেনার মতো ক্রিম উঠতে থাকলে তখন তাতে ভ্যানিলা 

আর ক্যাস্টর চিনি দিয়ে নাড়ুন। ঘন হয়ে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। প্রতিটি পেস্ট্রি খুব সাবধানে ধারালো ছুরি দিয়ে দুই ভাগ করুন, যাতে দুটো 

সরু শিট বের হয়। প্লেটে এই শিট একটি নিয়ে তার ওপর ক্রিমের মিশ্রণ এক স্তর ঢালুন। এর ওপর কিছু স্ট্রবেরি কেটে ছড়িয়ে দিন। আবার 

আরেক শিট পেস্ট্রি দিন। এভাবে আরও কয়েকবার কয়েক স্তরে সাজান। প্লেটে স্ট্রবেরির টুকরা আর ক্রিম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।


উপকরণ : 
৩ কাপ (বড়) স্টক, চিংড়ি মাছ (১০-১২টা) মাঝারি, মিক্সড লবণ (সাধারণ লবণ+টেস্টিং সল্ট), সল্ট মিলানো, ডিম ২টা, থাই পাতা ৩টা, 

চিনি স্বাদমত, কাঁচামরিচ ৪টা (ফালি করা), লেবুর রস অর্ধেকটা, টমেটো সস আন্দাজমত, কর্নফ্লাওয়ার এবং এরারুট, ছোট লম্বা করে কাটা মুরগির মাংস আধা কাপ।

স্টক : দেড় কেজির এক হাঁড়ি পানিতে মুরগির হাড় আধা চা-চামচ ও আদা-রসুন বাটা দিয়ে ৩ ঘণ্টা মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। নামিয়ে 


ঠাণ্ডা করে ৪ কাপ স্টক সেকে নিতে হবে।


প্রণালী : প্রথমে ৩ কাপ স্টকের পানিতে চিকেন এবং চিংড়ি পিঠের কাছে লম্বা করে কেটে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর থাই পাতা মিক্সড লবণ 


দিতে হবে। তারপর কর্নফ্লাওয়ার+এরারুট দিয়ে নাড়তে হবে। চুলা থেকে হাঁড়িটা নামিয়ে একটু ঠাণ্ডা করে স্যুপের মধ্যে চিনি এবং শুধু 

কুসুম মেশাতে হবে। কুসুম ফেটিয়ে ওপর থেকে দিতে হবে এবং বেশি বেশি নাড়তে হবে চুলায় বসিয়ে। এরপর ঘন হয়ে এলে লেবুর রস, 

কাঁচা মরিচ এবং সস মেলাতে হবে। স্বাদ অনুযায়ী সব দেয়া হয়ে গেলে পরিবেশন করতে হবে।


উপকরণ :
 গাজর আধা কেজি, দুধ ১ কেজি, চিনি ২ কাপ, ঘি চার ভাগের এক কাপ, এলাচ ২টা, দারুচিনি ২ টুকরা, পেস্তা বাদাম ৩টা, কিসমিস ৮-১০টা।


প্রণালী : গাজর খোসা ছাড়িয়ে স্লাইস করে কেটে নিতে হবে। এবার একটি হাঁড়িতে দুধ নিয়ে তার মধ্যে গাজর দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ


 হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। সেদ্ধ গাজর শিলপাটায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিতে হবে। ঘি গরম হয়ে গেলে গাজর, চিনি, 

এলাচ, দারুচিনি দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। হালুয়া ভালোভাবে কষাতে হবে। হালুয়া ঘিয়ের উপরে উঠলে নামিয়ে প্লেটে ঢেলে পেস্তা 

বাদাম কুচি এবং কিসমিস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।



উপকরণ: করলা ১০০ গ্রাম, শজনের ডাঁটা ২০০ গ্রাম, কাঁচা কলা ২টি, মিষ্টিকুমড়া ১০০ গ্রাম, শিম ১০০ গ্রাম, আলু ১০০ গ্রাম, বেগুন ১০০ 

গ্রাম, কুমড়ার বড়ি ৮-১০টি, কাঁচা মরিচ ৪টি, লবণ স্বাদমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, হলুদের গুঁড়া সামান্য, 

তরল দুধ ৩ টেবিল চামচ, ময়দা ১ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ।

ফোড়নের জন্য: ঘি ২ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ ২টি।


বাটা মসলা: সরষে ২ চা-চামচ, ধনে ১ চা-চামচ, মৌরি আধা চা-চামচ, আদা ১ ইঞ্চি পরিমাণ, রাঁধুনি আধা চা-চামচ।


 সব একসঙ্গে বেটে আধা কাপ পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।



প্রণালি: করলা পাতলা করে কেটে লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। বড়ি ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। সব সবজি লম্বা ফালি

 করে কেটে ওই তেলে ভাজতে হবে। লবণ, হলুদ, তেজপাতা দিতে হবে। তরকারি ভাজা ভাজা হলে ছেঁকে রাখা মসলা ও পরিমাণমতো 

গরম পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভেজে রাখা বড়ি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। তরকারি সেদ্ধ হলে ময়দা ও চিনি দুধে গুলিয়ে দিতে

 হবে। কাঁচা মরিচ ও করলা দিয়ে নামাতে হবে। কড়াইয়ে ঘি গরম করে পাঁচফোড়ন ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে তাতে সবজি ঢেলে 

দিতে হবে। পাত্রে ঢেলে ওপরে অল্প ভাজা পাঁচফোড়নের গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে ভাত, রুটি, পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।

সংগ্রহ.........

নিঃসঙ্গতার সাথে সখ্য গড়েছিলাম ভালোই, তারপর…

চোখে মোটা গ্লাসের চশমা রুক্ষ চুলের লুকোচুরি আর তার বন্য হাসির উচ্ছলতা, ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো কবিতা, এলোমেলো বন্য কবিতা।

আগুনঝরা ফাগুনে ঝাপসা চোখে বাসন্তি শাড়ি জড়িয়ে খুজেছিলি আমাকে হাজারো ভীড়ের মাঝে, রঙ্গিন বৈশাখের তপ্ত রৌদ্দুরের নিঃস্বঙ্গতায়
হারিয়ে ফেলেছি তোকে হাজারো রঙের ভীড়ে, ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো আরো একটি কবিতা এলোমেলো রঙ্গিন কবিতা।

তোর আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল জড়িয়ে ইচ্ছে ছিলো কাটাবো কতো অলস দুপুর, তুই চেয়েরবি আমার চোখে মোটা গ্লাসের চশমার ফাকে,

ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো একটি কবিতা এলোমেলো অলস দুপুরের কবিতা।

একটি বর্ষা পেরিয়ে যায় অঝোর বর্ষনে বিষন্নতার চাদর হয়ে, শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে হাটবো কি দুজন আবারো একই ধারে?

অচেনা পথের ধুলো মাড়িয়ে আঙ্গুলের ফাকে আঙ্গুল জড়িয়ে, সেই মোটা গ্লাসের চশমা চোখে পাড় হবে কতো শত গোধূলী বেলা।

ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো গোধুলি মাখা একটি কবিতা,

শত শত কবিতা

এলোমেলো কবিতা

কিছু তুচ্ছ কবিতা।

মুসলিম খেলোয়াড়দের ও সমর্থকদের কথা বিবেচনা করে স্টেডিয়ামেই মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিল জার্মানের সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।
ফলে স্টেডিয়ামের মধ্যেই খেলোয়াড়রা এবং সমর্থকরা তাদের ধর্মীয় কাজ করতে পারবেন। অনইসলাম’র প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
বায়ার্নের মুসলিম মিডফিল্ডার বিলাল ফ্রাঙ্ক রিবারি নামাজ আদায় করার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষকে স্টেডিয়ামের ছোট একটি রুম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরেই কর্তৃপক্ষ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনা স্টেডিয়ামে একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ফুটবল ক্লাবটি।
মুসলিম খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের জন্য নির্মিতব্য এই মসজিদে একজন পেশ ইমাম থাকবেন ও একটি ইসলামিক বইয়ের লাইব্রেরি থাকবে। এছাড়া ইসলামিক আলোচনার সেশন করা হবে।
বায়ার্নের প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে যে মসজিদ নির্মাণের মোট খরচের ৮৫ শতাংশ ক্লাবের পক্ষে থেকে দেওয়া হবে। আর বাকি ১৫ শতাংশ খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে যারা অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে নেওয়া হবে।

বায়ার্ন মিউনিখই ইউরোপের প্রথম ক্লাব হিসাবে মসজদি নির্মাণ করেত যাচ্ছে বিষয়টি এমন নয়। এর আগে নিউ ক্যাশেল ইউনাইটেডও একটি রুম মুসলমানদের নামাজের জন্য নিদির্ষ্ট করে দেয়।

Monday, May 27, 2013


বিএনপি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বুধধবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দল।

সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে ১৮ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

Sunday, May 26, 2013

বাসাতে বাসাতে গিয়ে যারা বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বাজারের থেকে কম দামে বিক্রি করে, তেমনই একটি মেয়ে বাসাতে আজকে বিকালে এসেছিল। প্রথমে দরজা খুলতেই চাচ্ছিলাম না, কিন্তু মেয়েটার ব্যাবহার চমৎকার ভালো আর সুন্দর। তাই বিশ্বাস করে দরজা খুলি। এরপর মেয়েটির সাথে অনেকক্ষণ কথা হয়, ওর কাছ থেকে একটা শ্যাম্পু কেনা হয়।

কিন্তু আসল কথা এগুলা না।  আসল বিষয় হল মেয়েটা!!!

মেয়েটা একটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বছরই ভর্তি হয়েছে, এখনও ক্লাস শুরু হয়নি। ও অনেক চমৎকার করেই কথা বলে, অনেক বন্ধুসুলভ। তাই একটু ইতস্তত করে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম, ''এই চাকরি করতে তোমার সমস্যা হয় না?'' ও অনেক সুন্দর করে একটা হাসি দিয়ে বলে, ''না আপু। এমনিতে কোন সমস্যা হয় না। শুধু এই সিঁড়ি দিয়ে বারবার উঠানামা করাতেই যা কষ্ট!'' এরপর আমি কিছু আর বলি নাই। ও নিজের থেকেই বলা শুরু করে এরপর, ''আসলে সমস্যা বলতে আপু, এখানে নিজের কোন সিকিউরিটি নেই। সেই বাসাতে আমি ঢুকি না, যে বাসাতে নাকি দরজা পর্যন্ত কোন মেয়ে আসে। আর অনেকেই অনেক খারাপ ব্যাবহার করে। আমি বুঝি যে সময় এখন খারাপ, অবিশ্বাস করাটা স্বাভাবিক, কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক কষ্ট লাগে।'' অন্য কোন জবের জন্য ট্রাই করার কথা বলতেই বলল যে আড়ং এ এই পর্যন্ত কয়েকশ বার নাকি সিভি দেওয়া হয়ে গেছে। শেষে বাধ্য হয়ে এই জব করছে।

জব করাটা ওর জন্য কেনও দরকার সেটা জানালো। বাসা থেকে এখনই বিয়ে দেবার জন্য ওর বাবা-মা উঠে পড়ে লেগেছেন। কিন্তু ও এখন বিয়ে করতে চায় না। পড়ালেখা শেষ করে, ভালো কোন চাকরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তারপর ও বিয়ে করতে চায়। ও চাকরি করুক, সেটা ওর বাবা-মা চান না। তাই রাগ করে ওর বাবা ওর সাথে কথা বলেন না। ও আমাকে বলে, ''জানেন আপু, আব্বুকে এতো ভালোবাসি যে আব্বুর সাথে কথা না বলে থাকতেই পারি না। কিন্তু আব্বু এতো রাগ করেন, আমি কেনও চাকরি করবো, আমি কেনও পড়ালেখা করবো এই জন্য! ওর বাবা-মা কেওই জানেন না যে ও এই চাকরিটা করছে, শুধু জানে যে ও একটা চাকরি করছে। কারন, ওর বাবা-মা কেওই এই চাকরিটাকে ভালো চোখে দেখেন না!!!

ও অনেক ক্লান্ত ছিল। কথা বলতে বলতে ওকে এক গ্লাস শরবত বানায়ে দেই। ও এক চুমুকে খেয়ে বলে, ''আপু, এতো ব্যাস্ত থাকি যে বাসাতে যেতে যেতেই অনেক টায়ার্ড হয়ে যাই। এখন কাজ শেষ করে বাসাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত হয়ে যাবে।'' এরপর একটু মাথা নিচু করে গ্লাসের দিকে তাকায়ে বলে, ''কতজনে এইটা নিয়ে কতকিছু বলে। কিন্তু কেও তো আর আমার পড়ালেখা করার জন্য সাহায্য করবে না!''

আমাদের এই সুন্দর সমাজ এমনই। একটা মেয়েকে কতভাবে দমায়ে রাখা যায়, তার সবকিছুই প্রয়োগ করে থাকে। কিন্তু একটা মেয়েকে কখনই সাহায্য করে না সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। মেয়েটি যদি নিজ মনোবলের জোরে এগিয়েও যায়, তবে সমাজের কিছু মানুষ আরও খানিকটা এগিয়ে আসে, মেয়েটিকে টেনে পিছনে ফেলার জন্য।

তবুও, থামাতে তো পারে না, ওদের মত,

সাহসী মেয়েদের!

কার্টিসিঃ ফাওজিয়া ফারহাত অনিকা

Free Talk:  ☆মৃত্যুদন্ড ব্যাপারটা করুণ হলেও ওটাকে উপভোগ্য করে...:   ☆মৃত্যুদন্ড ব্যাপারটা করুণ হলেও ওটাকে উপভোগ্য করেছে কিছু ব্যতিক্রমি মানুষ৷ মৃত্যু র পূর্বমূহুর্তের কিছু মজার বাক্য★ ০১) ১৫৫৩ সালে ...

১.কোথাও উচুঁ,কোথাও নিচু-পথঘাট
২.সহজে ভঙ্গুর- প্রেম
৩.কথা দিয়ে কখা রাখে না যে - রাজনীতিবিদ
.ক্রমে ক্রমে যা হ্রাস পাচ্ছে - বিবেক
.ঘুমিয়ে আছে যে - মানবতা
.দীর্ঘকাল ব্যাপিয়া যে জীবন - ছাত্রজীবন
৭.কোথাও যার ভয় নেই - ছাত্রলীগ
.যে খাবারের স্বাদ বেশি - ঘুষ
.যে স্থানে যুদ্ধ হয়- বিশ্ববিদ্যালয়
১০.যার কোন উপায় নেয় - জনতা

Saturday, May 25, 2013



নাস্তিক একজন জ্ঞানীকে লক্ষ্য করে বলল, “আপনি যদি আমার তিনটি প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেন, তবে আমি মুসলমান হয়ে যাবো।”

১) সব কাজ যদি আল্লাহর মর্জি-তে হয়, তবে পাপ করলে মানুষের তাতে কী দোষ?

২) শয়তানকে আগুন থেকে সৃষ্টি করাহয়েছে, তাহলে জাহান্নামের আগুন তাকে কীভাবে স্পর্শ করবে...??

৩) আল্লাহকে তো দেখা যায় না,তাহলে আল্লাহকে মানেন কেন???

নাস্তিক এর বাক্যালাপ শেষ হলে হাতে একটি মাটির ঢিল নিয়ে জ্ঞানী লোকটি তার দিকেছুঁড়ে মারলেন।

নাস্তিক রাগান্বিত হয়ে বিচারক সমীপে অভিযোগ দায়ের করলো। জজ জ্ঞানী লোকটিকে ডেকে বলল, “তুমি এই লোকটি কেঢিল মেরেছ কেন ?”

জ্ঞানী ব্যক্তি প্রত্যুত্তর করলেনঃ

১) আমি তো আল্লাহর মর্জিতে ঢিল মেরেছি, তাতে আমার কী দোষ ?

২) এই লোক তো মাটির সৃষ্টি, তবে মাটির ঢিলায় তার কষ্ট লাগবে কেন ???

৩) শরীরে তো ব্যথা দৃষ্টি গোচর হয় না, তবে সে অনুভব করে কেন ???

“আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিন।”




মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তের কিছু মজার বাক্য

 ০১) ১৫৫৩ সালে রাজদ্রোহের
অভিযোগে সাহিত্যিক টমাস মুর এর শিরোচ্ছেদের আদেশ হয় ।
জল্লাদ ধারালো কৃপাণ চালানোর আগ মুহূর্তে টমাস মুর সময় চাইলেন । তারপর সযত্নে তার বাবরি চুল সরিয়ে বললেন “দেখো, এগুলো যেন না কাটে”।

০২) ১৮৯৬ সালে চেরোকী বিল
নামে একজন রাজনীতিবিদকে ফাঁসির আগে কিছু ...বলতে বলা হলে তিনি বলেছিলেন “আমি এখানে মরতে এসেছি, ভাষণ দিতে নয়” ।

০৩) কার্ল পানযরাম নামে এক
শিল্পীকে ফাঁসিতে ঝোলাতে গিয়ে কোন কারণে জল্লাদের দেরি হচ্ছিল । তাতে কার্ল রেগে গিয়ে বলেছিলেন “জলদি কর
বেজন্মা কোথাকার, -তোর
জায়গায় হলে আমি এতক্ষণে এক
ডজনকে ঝুলিয়ে দিতাম”।

০৪) জর্জ আ পেল নামে এক
খুনীকে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসানো হল । চেয়ারে বসে সে উপস্থিত
দর্শকদের দিকে তাকিয়ে সহাস্যে মন্তব্য করল “বন্ধুরা, আপনারা একটু পরেই এই চেয়ারের উপর
একটি সেদ্ধ আপেল দেখতে পাবেন ”।

০৫) প্রাচীন রোমে সুববিয়াস
ফ্লেভাসকে শিরচ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যদন্ড প্রদানের কিছুক্ষণ আগে জল্লাদ তাকে স্থির থাকার পরামর্শ দেয় । এতে রেগে গিয়ে সুববিয়াস
বলেছিলেন “আমি ঠিকি আছি গাধা, তোর হাত স্থির থাকলেই
হয়”।

০৬) কুখ্যাত গ্যাংস্টার জেমস ডব্লিউ রজারসকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হলে সে ঠাট্টাচ্ছলে বলেছিল “একটা বুলেটপ্রুফ পোশাক চাই ”।

০৭) রুশ বিপ্লবী কাউন্ট পাসটেলকে ফাঁসিতে ঝোলানোর
সময় প্রথম চেষ্টায় জল্লাদ ব্যর্থ
হয় । তাতে তিনি রেগে গিয়ে বলেন “স্টুপিড দেশ, কেমন
করে ফাঁসি দিতে হয় এরা তাও জানে না”।

০৮) ফরাসি বিপ্লবী জিয়ান
সেলভেইন বেইরীকে যখন
বধ্যভূমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল
তখন তিনি কাঁপছিলেন । উপস্থিত একজন এ বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বিরক্ত
হয়ে উত্তর দিয়েছিলেন “বুদ্ধু কোথাকার, ঠান্ডায় কাঁপছি ”।

০৯) কবি হেনরী রীচার মৃত্যুর আগের মুহুর্তে বলেছিলেন “শুরু
হল রহস্যের….”।

১০) লেখক ও হেনরী মৃত্যুর আগে ঘরের সব বাতি জ্বেলে দিয়ে বলেছিলেন “আমি অন্ধকারে বাড়ি ফিরে যেতে চাই না ”।


Friday, May 24, 2013

বাংলা সাহিত্যের কবি সাহিত্যিকগন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছদ্মনাম নিয়ে লিখেছেন। তাদের কিছু ছদ্মনাম ও উপাধি আমি তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ...............।।

বিশ্বকবি, নাইট , ভানু সিংহ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিদ্রোহী কবি-কাজী নজরুল ইসলাম
টেঁকচাঁদ ঠাকুর – প্যারীচাঁদ মিত্র
হুতোম পেঁচা – কালিপ্রসন্ন সিংহ
বনফুল – বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
মৌমাছি – বিমল ঘোষ
গাজী মিয়া – মীর মশাররফ হোসেন
কায়কোবাদ – কাজেম আল কোরায়েশী
শওকত ওসমান – শেখ আজিজুর রহমান
জরাসন্দ – চারুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
বানভট্ট – নীহাররঞ্জন গুপ্ত
নীল লোহিত – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
নীহারিকা দেবী – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
সত্যসুন্দর দাস – মোহিতলাল মজুমদার
কালকূট – সমরেশ বসু
পরশুরাম – রাজশেখর বসু
বীরবল – প্রমথ চৌধুরী
বড়ু চন্ডীদাস – অনন্ত বড়ু
সুনন্দ – নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়
দৃষ্টিহীন – মধুসূদন মজুমদার
অবধূত – কালীকানন্দ
হায়াৎ মামুদ – ড. মনিরুজ্জামান
যাযাবর – বিনয় কৃষ্ণ মজুমদার
ছান্দসিক কবি – আব্দুল কাদির
মহাকবি – আলাওল
সাহিত্য বিশারদ- আব্দুল করিম
যুগসন্ধিক্ষণের কবি- ঈশ্বর গুপ্ত
বিদ্যাসাগর – ঈশ্বরচন্দ্র
স্বভাব কবি- গোবিন্দ দাস
কাব্য সুধাকর – গোলাম মোস্তফা
পল্লী কবি – জসীম উদ্দিন
ভাষা বিজ্ঞানী- ডঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সাহিত্যরত্ন – নজিবর রহমান
সাহিত্য সম্রাট- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টপাধ্যায়
মুসলিম রেনেসাঁর কবি – ফররুখ আহমদ
ভোরের পাখি – বিহারীলাল চক্রবর্তী
সাহিত্য স্বরসতী, বিদ্যাবিনোদিনী- নূরন্নেসা খাতুন
পদাবলীর কবি- বিদ্যাপতি
মার্কসবাদী কবি- বিষ্ণু দে
রায় গুনাকর – ভারতচন্দ্র
মাইকেল- মধুসূদন দত্ত
গুণরাজ খান – মালাধর বসু
মুকুন্দরাম – কবিকঙ্কন
চারণ কবি – মুকুন্দ দাস
দৃষ্টিহীন- মধুসূদন মজুমদার
সত্য সুন্দর দাস- মোহিত লাল মজুমদার
শান্তিপুরের কবি – মোজাম্মেল হক
দুঃখবাদের কবি – যতীন্দ্রনাথ বাগচী
তর্করত্ন – রামনারায়ণ
অপরাজেয় কথাশিল্পী- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সাহিত্য বিশারদ, রত্নকর – শেখ ফজলুল করিম
শওকত ওসমান – শেখ আজিজুর রহমান
কবিন্দ্র পরমেশ্বর – শ্রীকর নন্দী
নাগরিক কবি – সমর সেন
ছন্দের যাদুকর -সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
ক্লাসিক কবি – সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
কিশোর কবি – সুকান্ত ভট্টাচার্য
পদাতিকের কবি – সুভাষ মুখোপাধ্যায়
বাংলার মিল্টন – হেমচন্দ্র
রূপসী বাংলার কবি, তিমির হননের কবি, ধুসর পাণ্ডুলিপির কবি -জীবনানন্দ দাশ।

  বিলগেইটস এর আত্মজীবনী

ছেলেবেলাঃ
জন্ম ১৯৫৫। বিল তার প্রথম কম্পিউটার দেখেন বাড়ীর কাছেই ছোট্ট একটি কম্পিউটার ফার্মে। রাতের বেলা তিনি আর তার বাল্য বন্ধ পল অ্যালান ঐ কম্পিউটার ফার্মে কাজ করতেন। তারা দুজনে মিলে ট্রাফিক সিগনাল কন্ট্রোলের একটি সফটওয়্যার বানান এবং পরবর্তীতে দুজন একত্রেই মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন। কিছু দিন আগেও বিল গেইট্স যখন বিশ্বের সেরা ধনী নির্বাচিত হন তখন পল এ্যালান ছিলেন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্পদশালী ব্যক্তিত্ব।
শিক্ষাঃ হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক। কিন্তু তিনি তার শিক্ষা জীবন সম্পুর্ণ করেননি। তিনি হার্ভাড থেকে চলে আসার আগে তার এক শিক্ষককে বলেছিলেন, তিনি তিরিশ পেরোনোর আগেই মিলিয়নিয়ার হবেন। কিন্তু তার কথাটি ঠিক ছিল না। কারণ, তিনি মিলিয়নিয়ার নয় বরং বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনঃ
বিল গেইটস ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক ক্যাথরিন ও রণ গেইটস। তার সহধর্মী মেলিন্ডা গেইটস এককালের সহকর্মী।
মোট সম্পদঃ
১০০ বিলিয়নের কম এবং ১৮ বিলিয়নের বেশী।
লেখালেখিঃ
  • Business @ the Speed of Thought,
  • The Road Ahead
মাইলস্টোনঃ
  • মাইক্রোসফটের প্রথম প্রোডাকশন হল ডস (ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম) যা বিল ৫০ ডলারের বিনিময়ে কিনে নিয়েছিল একটি অখ্যাত কোম্পানীর কাছ থেকে এবং কুইক এন্ড ডারটি ওস(কিউডস) নাম বদলে একটু সুন্দর ও সহজ করে সেটি বিক্রি করে দিয়ে ছিল আইবিএম এর কাছে।
  • উইন্ডোজ ৩.১, যা মাইক্রোসফট অ্যাপলের কাছ থেকে দেখে তৈরী করে। আর অ্যাপল সেটি নিয়েছিল জেরক্সএর কাছ থেকে!!
  • উইন্ডোজ ৯৫, ম্যাকওসের সরাসরি নকল। কিন্তু স্ট্যাবিলিটি ও ক্ষমতাতে তার ধারে কাছেও নেই।
  • উইন্ডোজ এনটি- ডিজিট্যাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশনের ভিএমএস নামক একটি সিস্টেমকে মাইক্রোসফট কিনে নেয় এবং পরবর্তীতে উক্ত সিস্টেমের প্রোগ্রামারদেরও নিজ সংস্থায় নিয়ে যায়। তারাই উইন্ডোজ এনটি ডেভেলপ করে দেয়।
  • এমএস ওয়ার্ড নিয়ে যাদের এত খুশি তাদের আরও আনন্দ পাবেন এটি জেনে যে, এটি চুরি করা হয়েছিল ওয়ার্ডপারফেক্ট ও অ্যামিপ্রো হতে। বর্তমানে কোরেল কোম্পানী প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই ওয়ার্ডপারফেক্ট নিয়ে নানা গবেষণা করে এর উন্নত সংস্করন বের করলেও তা খুব একটা নাম করতে পারেনি। একই ভাবে মাইক্রোসফট তার প্রায় প্রতিটি বিখ্যাত সফট্ওয়্যার কখন নকল করে (যেমন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার নেটস্কেপ নেভিগেটর হতে নকল করে), কখনও উৎপাদনকারী সংন্থাকে কিনে নিয়ে আবার কখনও উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে ধ্বংস বা দেউলিয়ে করে কিনে নিয়েছে। সম্ভবতঃ একারণেই বিলগেইটসের মাইক্রোসফট সফটওয়্যার জায়ান্ট

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোট রোববার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার জন্য নতুন করে সংলাপে বসার আহ্বান জানানোর একদিন পরেই বিএনপি এই হরতালের ডাক দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হরতালের ঘোষণা দেন।
নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ ও আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ হরতাল ডাকা হয়েছে বলে জানান শামসুজ্জামান দুদু।

Marque slider

আপনাকে FreeTalk এ স্বাগতম Thank you for come Here

FreeTalk. Powered by Blogger.

Popular Posts

Blog Archive