Thursday, May 30, 2013

আজ ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদাতবার্ষিকী। দলটি এমন এক সময়ে এই কর্মসূচি পালন করছে, যখন দেশে সভা-সমাবেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা।বেশিরভাগ জ্যেষ্ঠ নেতা জেলে। যা দু-একজন বাইরে আছেন, তারা দুই কার্যালয়ের বাইরে মুভ করতে পারছেন না। সীমিতসংখ্যক কিছু কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। সভা-সমাবেশ করতে না পারায় হরতাল দিলেও তারা নিজেরাই মাঠে নামতে পারছেন না।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই অবস্থা থেকে বিএনপি আর বড় ধরনের কোনো আন্দোলনে আপাতত যাচ্ছে না। অনেকটা কৌশলী হয়ে যতটুকু কর্মসূচি পালন না করলেই না, তা করবে।বিএনপি ও তাদের জোট সূত্র
জানায়, আগামী রমজান পর্যন্ত বিরোধী জোট এভাবেই চলবে। তবে রোজা শুরুর আগে আরো বেশ ক’দিন হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হবে। সরকারি বিধি-নিষেধের এক মাস পর্যবেক্ষণে রয়েছে। এই সময়সীমা শেষে কর্মসূচি পালনের সুযোগ আসলে আরেকটু আন্দোলন জোরদার করা হবে।তারেক রহমানও সে সময়ে ফেরার আভাস দিয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা আরটিএনএন- কে বলেন, ‘সভাপতি ও সম্পাদক সবাইকে গ্রেপ্তার এড়িয়ে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে মাঠে থাকতে বলেছেন।’

তিনি জানান, ‘এভাবে রমজান পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন হাই-কমান্ড। এর মধ্যে তারেক ভাই দেশে আসবেন। তখন পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

আর সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে ওই সময়কে বেছে নেওয়ার জন্য বিএনপির হাই-কমান্ড থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।তৃণমূলে যে ক্ষোভ বিদ্যমান, তা রমজানের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যে চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার প্রভাব দেখা গেছে। একজোট হয়ে সবাই দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মাঠে রয়েছেন।এর বাইরে যুব, স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে তাদের সব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া।

এসব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় থেকে শুরু করে বেশিরভাগ শাখায় মূল দ্বন্দ্ব সভাপতি ও সম্পাদকের মধ্যে। তাদের ঘিরে আলাদা দুটি বলয় কাজ করে। দলীয় চেয়ারপারসন বলয় ভেঙে এক করতে সভাপতি ও সম্পাদকের প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।খালেদা জিয়া নিজে ঢাকা মহানগরসহ বিভাগীয় মহানগরের ঝামেলা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু আরটিএনএন- কে বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন দলের নীতিনির্ধারকরা। অপেক্ষা করুন আরো কঠোর কর্মসূচি আসবে। তবে এখন সব নেতাকর্মীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান আরটিএনএন- কে বলেন, ‘সামনে রমজান। জনগণের দুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি বিএনপি দিবে না। তবে সরকার বাধ্য করলে ভিন্ন কথা।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের পরে বিরোধী জোট কর্মসূচি ঘোষণা করবে এবং সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরবে না।’
 From:
আরেফিন শাকিল
আরটিএনএন

0 comments:

Marque slider

আপনাকে FreeTalk এ স্বাগতম Thank you for come Here

FreeTalk. Powered by Blogger.

Popular Posts

Blog Archive